অনলাইন ডেস্ক॥
শহরে হাড়সহ এক কেজি গরুর মাংসের বর্তমান বাজার মূল্য ১৭৫ টাকা। আর হাড় ছাড়া এক কেজি গরুর মাংসের দাম জায়গা ভেদে ২২০-২৪০ রুপি, কোথাও ২৬০ রুপি নিয়ে থাকে। কলকাতায় লাল মাংসের মধ্যে সবচেয়ে কম দাম গরুর মাংসের। মাংস বিক্রেতারা জানান, পশ্চিমবঙ্গে গরুর মাংস বেচাকেনায় কোনো সমস্যা হয় না। খাওয়ার ওপর বাছবিচার কম করেন এ শহরের মানুষজন।
কলকাতার নিউমার্কেট সংলগ্ন পার্ক সার্কাস, বেগবাগান, সিআইটি রোডসহ মাত্র পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ টি গরুর মাংসের দোকান রয়েছে। যাদের প্রত্যেকের বেচাকেনা বেশ ভালো। বিশেষ করে শহরের সাপ্তাহিক ছুটির দিন, শনি ও রোববার বেশি কেনাবেচা হয়ে থাকে।
গরুর মাংসের বিক্রি বাড়ে শীত মৌসুমে। এমনই জানিয়েছেন একজন গরুর মাংস বিক্রেতা। শুধু কলকাতা নয়, গোটা বাংলায় এটা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়নি। সকলেই একতা বজায় রাখেন। তবে গরুর মাংসের নানা পদের মধ্যে শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে সবচেয়ে বেশি চল ঐতিহ্যবাহী কালা ভুনার। এই রেসিপি পাগলা ভুনাও নামেও পরিচিত। মারক্যুইস স্ট্রিট অঞ্চলে একপ্লেট ভাতের দাম পড়ে ২০ রুপি। সবজিসহ দাম পড়ে ৩০ রুপি। একপ্লেট কালা ভুনা ৭০ রুপি। চাইলে হাফ প্লেটেও মেলে। সেক্ষেত্রে দাম পরে ৪০ রুপি। ফলে দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় শহরের বহু মানুষ এর স্বাদ নেন। যার থেকে বাদ পড়েন না বাংলাদেশিরাও। এ সময়টা কলকাতা ভ্রমণে সবচেয়ে বেশি আসেন বাংলাদেশিরা। তাদের অভিমত, আশপাশে ঘোরাঘুরি, হইহুল্লোড় আর শপিংয়ের সাথে কলকাতায় খাওয়া-দাওয়া বেশ সাশ্রয়ী।
কলকাতায় বেড়াতে এসেছেন ত্রিশোর্ধ্ব ঢাকাবাসী নিলয়। তার অভিমত, এই সময় কলকাতায় আবহাওয়া বেশ চমৎকার। মারক্যুইস স্ট্রিটের অলিগলি দেখলে তার ৭০ বছর আগের পুরান ঢাকার কথা মনে পড়ে। তিনি বলেন, শহরের মানুষের ব্যবহার আমার বেশ মনে ধরেছে। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, কলকাতায় ৭০ রুপিতে একবেলায় দিব্যি খাওয়া হয়ে যায়। বিষয়টা আমার কাছে খুবই চমৎকার লেগেছে।
+ There are no comments
Add yours