অনলাইন ডেস্ক॥
ইরানের ইসরায়েলে হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশ তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে অনেক ফ্লাইট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ বিমান চলাচল শুরু হবে তা অস্পষ্ট।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইরানের ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়। খবর আল জাজিরার।
ইসরায়েলে ইরানের হামলার জেরে আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে জর্ডান, লেবানন, ইরাক, সাইপ্রাস ও সিরিয়া । এদিকে, ইরানের হামলার পর আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোও ফ্লাইট বাতিল ও রুট পরিবর্তন করছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক এমিরেটস এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা তাদের কিছু ফ্লাইট বাতিল ও বাকিগুলো পুনরায় রুট চালানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এয়ারলাইনটির এক মুখপাত্র বলেছেন, আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং সাম্প্রতিক আকাশসীমা বন্ধের পরে গ্রাহকদের ন্যূনতম বিঘ্ন নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
আবুধাবিভিত্তিক ইতিহাদ এয়ারওয়েজ রোববার জর্ডান ও ইসরায়েলগামী ফ্লাইট বাতিল করেছে।
রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক পোস্টে সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তেল আবিবগামী ও সেখান থেকে ফ্লাইট স্থগিত করেছে সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ার লাইনস।
জার্মান বিমান সংস্থা লুফথানসার মালিকানাধীন সুইস জানিয়েছে, তাদের সব বিমান ইরান, ইরাক ও ইসরায়েলের আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে।
লুফথানসা জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে সর্বশেষ অস্থিরতার কারণে তারা অন্তত সোমবার পর্যন্ত আম্মান, বৈরুত, ইরবিল এবং তেল আবিবের ফ্লাইট স্থগিত করছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জার্মান এয়ারলাইনটি বলেছে, অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েল, জর্ডান ও ইরাকের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার বিষয়টিও নিশ্চিত করবে তারা।
লুফথানসা গ্রুপের অংশ অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্স ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত তেহরানের ফ্লাইট স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।
এয়ারলাইনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, বিভিন্ন আকাশসীমা বন্ধ থাকায় মধ্যপ্রাচ্যের মধ্য দিয়ে দূরপাল্লার রুটগুলোও সেই অনুযায়ী রুট পরিবর্তন করা হবে।
ইসরায়েলের এল আল এয়ারলাইন রোববারের ২০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। থাইল্যান্ড থেকে ইসরায়েলগামী দুটি এল আল ফ্লাইট ব্যাংককের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রীদের অবহিত না করা পর্যন্ত বিমানবন্দরে আসতে মানা করেছে বিমান সংস্থাটি।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েকশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর তথা আইআরজিসি। এছাড়া ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও রকেট হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েল বলছে, তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
+ There are no comments
Add yours