কথা বলার ৭ আদব

Spread the love

আদবের সঙ্গে কথা বলার ব্যাপারে ইসলামে কিছু নির্দেশনা আছে। এখানে সাতটি আদবের কথা তুলে ধরা হলো:
১. সঠিক কথা বলা: আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ, আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।’ (সুরা আহজাব, আয়াত: ৭০)
২. স্পষ্টভাবে কথা বলা: মুসা (আ.)-এর মুখে জড়তা থাকায় তিনি আল্লাহর কাছে আবেদন করেছিলেন, ‘আমার ভাই আমার চেয়ে ভালো কথা বলতে পারে, সুতরাং তাকে আমাকে সাহায্য করার জন্য পাঠাও। সে আমাকে সমর্থন করবে। আমি অবশ্য আশঙ্কা করছি, ওরা আমাকে মিথ্যাবাদী বলবে।’ (সুরা কাসাস, আয়াত: ৩৪)
৩. শালীন কথা বলা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘বিশ্বাসী ব্যক্তি কারও প্রতি ভর্ৎসনা ও অভিসম্পাত করে না এবং অশ্লীল ও অশালীন কথা বলে না।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯৭৭)
৫. অনর্থক কথা না বলা: মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ব্যক্তির ইসলামি গুণ ও সৌন্দর্য হলো, অহেতুক কথা ও কাজ পরিহার করা।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৩১৮)
৬. ব্যঙ্গবিদ্রূপ পরিহার করা: কাউকে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করা, অন্যায়ভাবে দোষারোপ করা, অবমাননাকর ও মন্দ নামে ডাকা কোনো বিশ্বাসীর ভাষা নয়। আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর পুরুষকে উপহাস না করে, কেননা যাকে উপহাস করা হয়, সে উপহাসকারীর চেয়ে ভালো হতে পারে; আর কোনো নারীও অপর নারীকে যেন উপহাস না করে, কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারিণীর চেয়ে ভালো হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ কোরো না। আর তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাকে মন্দ নামে ডাকা খারাপ কাজ। যারা এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত হয় না, তারা তো সীমালঙ্ঘনকারী।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ১১)
৭. অযথা তর্ক এড়িয়ে চলা: আল্লাহ তাঁর একনিষ্ঠ বান্দার পরিচয় দিতে গিয়ে কয়েকটি গুণের কথা বলেন। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘আর তারাই করুণাময়ের (রহমানের বান্দা) যাঁরা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করেন এবং অজ্ঞ ব্যক্তিরা তাঁদের সম্বোধন করেন, তখন তাঁরা বলেন শান্তি।’ (সুরা ফুরকান, আয়াত: ৬৩)

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours