অনলাইন ডেস্ক॥
২০২৩ সালের বছরজুড়ে ৭৬ লাখ ৮০ হাজার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিগত ১০ বছরের ইতিহাসে কোনো এক বছরে এত সংখ্যক বিয়ে হয়নি দেশটিতে। এমনকি এর আগের বছর ২০২২ সালে চীনে যত বিয়ে হয়েছিল, শতকরা হিসেবে তার চেয়ে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি বিয়ে হয়েছে ২০২৩ সালে। এসব তথ্য চীনের সরকারি পরিসংখ্যান বিভাগ এক বিবৃতে নিশ্চিত করেছে। বিশ্বের একসময়ের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীন গত বেশ কয়েক বছর ধরে নিম্নজন্মহার সমস্যায় ভুগছে। এতে একদিকে যেমন বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে কমছে কর্মক্ষম লোকজনের অধিকহারে সংখ্যা। এই সংকটের জন্য অবশ্য ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির একটি পুরনো নীতি অনেকাংশে দায়ী। জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গত শতকের আশির দশকে বিতর্কিত ‘এক সন্তান নীতি’ গ্রহণ করেছিল চীনের সরকার। বছরের পর বছর ধরে এই নীতি জারি রাখায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সুফল পাওয়া গেলেও একটা সময়ে উৎপাদন ও কর্মক্ষেত্রে জনবল সংকট তীব্র হয়ে উঠতে থাকে। অবশেষে ২০১৫ সালে বিতর্কিত সেই নীতি বাতিল করে বেইজিং। কিন্তু তারপরও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে বাড়ছিল না জন্মহার। এ পরিস্থিতিতে ২০২১ সালে তরুণ প্রজন্মকে বিয়ের প্রতি উৎসাহিত করে তুলতে প্রচার-প্রচারণা চালানো শুরু করে দেশটির সরকার, আর্থিক প্রণোদনাও ঘোষণা করে। সরকারের প্রচার-প্রচারণা আর্থিক প্রণোদনার প্রভাবে ২০২২ সাল থেকে চীনে বিয়ের হার বাড়তে শুরু করে। ওই বছর দেশজুড়ে ৮ লাখ ৪৫ হাজার বিয়ে হয়। পরিসংখ্যান দপ্তর বিবৃতি প্রকাশের পর চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এক বার্তায় দেশের জনগণ, বিশেষ করে নবদম্পতিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার চীনের সমাজকে একটি শিশুবান্ধব সমাজে রূপান্তর করতে চায় এবং দেশের জন্মহার বাড়াতে শিশুর জন্ম, বেড়ে ওঠা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পিতামাতার অভিভাকত্ব প্রভৃতি খাতে প্রয়োজনীয় আর্থিক প্রণোদনা প্রদান ও সহযোগিতাপূর্ণ নীতি গ্রহণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
+ There are no comments
Add yours