ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি॥
মন্ত্রী হয়েই প্রতিদ্বন্দ্বীর নামে করলেন শতকোটি টাকার মানহানি মামলা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে আদালতে তার বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য এবং গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগ্ম জেলা জজ নজরুল ইসলামের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আগামীকাল রোববার (১৪ জানুয়ারি) আদালত এই মামলায় শুনানি করবেন।
বাদীর আইনজীবী আব্দুল জব্বার মামুন জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর ফিরোজুর রহমান সদর উপজেলার সুহিলপুরে এক নির্বাচনী সভায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। তার ওই আপত্তিকর বক্তব্যে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সম্মানহানি হয়েছে। তাই ফিরোজুর রহমানকে তার আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে তাকে পর পর তিনটি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সেই নোটিশ আমলে নেননি। তাই র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সম্মানহানি করায় আদালতে শত কোটি টাকার ক্ষতির মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার আদালত এই মামলায় শুনানি করবেন।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি এই আসন থেকে চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে কেউই পূর্ণ মন্ত্রী হননি। এই আসন থেকে প্রথমবারের মতো পূর্ণ মন্ত্রী হন মোকতাদির।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে এবারের নির্বাচনে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট পান।
+ There are no comments
Add yours