১) একমুঠো কবিতার আশায়
এ এক গভীর অন্ধকার
রাস্তায় কুয়াশা
পথে নীরবতা
হাটবাজারে শুন্যতা
অন্ধকার সব অলিগলি
মুক্তির বাতি নিভে আছে বহুদিন ধরে
অন্ধদের অন্ধকারে
আলোর বড়ো অভাব
অন্ধকারে অন্ধকারে অন্ধকারে
বিলীন হয়ে আছে
প্রত্যাশার সবগুলো সড়কবাতি
তবুও মেলে ধরে স্বপ্নের ছাতি
অজানায় হাঁটছি
বেওয়ারিশ নীল কুকুরের মতো
আর কিছু না, একমুঠো কবিতার আশায়
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
২) তবু মেঘকে না ভুলো
যদি কখনো মেঘনার স্রোতের মতো মেঘের আঙিনায় ভেসে আসি
তবে কি গভীর চোখে চোখ রেখে বলবে, ভালোবাসি?
নাকি ধূর ধূর করে তাড়িয়ে দিয়ে জানাবে,
পথিক তুমি পথ হারিয়েছো
এ পথ তোমার নয়
এ পথে তুমি অপাংক্তেয়
যদি সত্যি সত্যি কোন এক ভরা পূর্ণিমায়
কুতুবখালির বাঁকে
অনেক কাজের ফাঁকে
মেঘের সাথে দেখা হয়
তবে যেন শুধু বলে দেয় —
বাকি পথ রুদ্র পায়ে চলো
তবুও মেঘকে না ভুলো
১২ নভেম্বর ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
৩) যদি আমার স্বপ্ন ভাঙে
এবার শীতে যদি আমি
কুয়াশা বা মেঘের সাথে
বিলিন হয়ে
হারিয়ে যাই
মেঘের মাঠে কিংবা বৃষ্টির দূর আড়ালে
তবু তুমি এই ভেবো না
নিরাপদে নিভৃতে সরে দাঁড়ালে
শুধু শুধাই আবার ফিরব
আগামী শীত কিংবা গ্রীষ্মে
চাঁদনি বা অমাবস্যার গহীন রাতে
আলো হাতে
দেখে নিতে
আকাশ হতে অন্ধকার মেঘ কেন ডাকে
ভীষণ শীতল শীতের রাতে
আমার অনেক কাজের ফাঁকে
এবার শীতে যদি আমার স্বপ্ন ভাঙে
মরা মেঘনার ধূসর গাঙে
তবে শুধু ভুলে যেও না
আমি ফিরব
আবার ফিরব
মেঘ হয়ে বিজন কাশবন ভরা তীরে
জোনাকির ঐ মিটিমিটি আলোর ভিড়ে
৯ ডিসেম্বর ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
(খ্যতিমান কবি ও গীতিকার মোঃ আঃ কুদদূস-ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। আধুনিক কবিতার জগতে বাঁক বদলের কবি হিসেবে ইতোমধ্যেই তিনি দেশে বিদেশে তথা বাংলা সাহিত্যের পাঠক মহলে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছেন)
+ There are no comments
Add yours