জমজম আল্লাহর অপার কুদরতের বিস্ময়কর নিদর্শন

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক॥ জমজম কূপের পানির স্তর মাটি থেকে প্রায় ১০ দশমিক ৬ ফুট নিচে। কোনো কোনো সময় জমজমের পানি ৮০০০ লিটার প্রতি সেকেণ্ডে ২৪ ঘণ্টা ধরে পাম্প করে উত্তোলন করা হয়। অবাক করার ব্যাপার হলো-তখন পানির স্তর নেমে যায় ৪৪ ফুট নিচে। কিন্তু পাম্প বন্ধ করার মাত্র ১১ মিনিটের মাথায় তা উঠে আসে ১৩ ফুট ওপরে। প্রতি সেকেণ্ডে ৮০০০ লিটার পানি পাম্প করার মানে হচ্ছে এক দিনে প্রায় ৬৯০ মিলিয়ন লিটার পানি উত্তোলন করা হয়। তাই বিজ্ঞানীরা অবাক হন ভেবে কিভাবে ১১ মিনিটের মাথায় তা আগের অবস্থায় ফিরে আসে। জমজম পানির প্রতি ফোঁটায় এই পরিমাণ খনিজ পদার্থ রয়েছে যা অন্য কোনো পানিতে পাওয়া যাবে না। পরীক্ষা করে দেখতে পাওয়া গেছে জমজম পানির গুণ বা উপকরণ পরিবর্তন করা যায় না। যদি নিয়মিত এই পানির ওপর কোরআন পাঠ করা হয় তাহলে এটি সব ব্যাধির চিকিৎসার ক্ষমতা লাভ করে। আর এটিই প্রমাণ করে, এই পানি মহান আল্লাহর একটি বিশেষ কুদরত। জমজম আল্লাহর অপার কুদরতের বিস্ময়কর নিদর্শন। জান্নাতি ঝর্ণাধারাসমূহের একটি। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়ার ফসল। মক্কায় এসে সব হজযাত্রীই পবিত্র মসজিদুল হারামে বা কাবা শরিফে নামাজ আদায় করেন। হজযাত্রীরা নামাজ আদায় করতে এসে জমজমের পানি পান করেন। কাবাঘরের কাছে হাজরে আসওয়াদের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে এই জমজম কূপ।বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান জমজমের পানিকে তাবারুক মনে করেন। প্রতি বছর লাখ লাখ হজযাত্রী হজ বা ওমরা শেষে এ পানি নিয়ে দেশে ফেরেন। সৌদি আরবের ভৌগলিক জরীপের আওতায় জমজম স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ সেন্টার রয়েছে। তারা এ কূপের মান, গভীরতা, তাপমাত্রার দিকে নিয়মিত নজর রাখে। জানা যায় জমজম কূপ প্রথমে খোলা অবস্থায় ছিল। তখন বালতি দিয়ে পানি তোলা হতো। জমজমের মুখ থেকে ৪০ হাত গভীর পর্যন্ত কূপের চারপাশ প্লাস্টার করা। এর নিচে পাথরকাটা অংশ আছে আরও ২৯ হাত। এসব লাল পাথরের ফাঁক দিয়েই তিনটি প্রবাহ থেকে আসে পানি। একটি কাবার দিক থেকে, একটি সাফা পাহাড়ের দিক থেকে এবং আরেকটি মারওয়া পাহাড়ের দিক থেকে। যুগে যুগে অসংখ্য আল্লাহর বান্দা শুধু জমজমের পানি পান করেই দিনের পর দিন কাটিয়েছেন। কারণ এতে রয়েছে খাদ্যশক্তি। পবিত্রতা ও বৈশিষ্ট্যে জমজম কূপের পানি পৃথিবীর সকল পানির চেয়ে উত্তম। কাবাঘরের ফজিলতের সঙ্গে জমজম কূপের মাহাত্ম্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ কূপের পানি মানুষের প্রাণ ভরিয়ে দেয়। হৃদয়ে ছড়ায় প্রশান্তি। পবিত্র ওমরাহ করতে আসা বিশ্বের লাখো লাখো মুসল্লি ইফতারে জমজমের পানিতেই খুশি। জমজমের অশেষ কল্যাণ ও বরকতের কথা অনেক হাদিসে এসেছে। হজরত আবুবকর সিদ্দিক (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সা.) জমজমের পানি সম্পর্কে বলেছেন যে, জমজমের পানি হচ্ছে বরকতময় ও তৃপ্তিদায়ক।  

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours