ফ্রন্টিয়ার ডেস্ক:
কোমলমতি হাফেজদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর ফরিদপুর বিভাগের অডিশন শেষ হয়েছে। প্রতিযোগিতায় ১০ জনকে ইয়েস কার্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ ১১ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৯টা থেকে ‘কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’ শিরোনামে ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইসলামিক শরিয়াহ রিসার্স সেন্টার চত্বরে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এ প্রতিযোগিতা শুরু। অনুষ্ঠানে সাড়ে ৬ শতাধিক কোরআনের পাখিরা রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ১০ জনকে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
সরেজমিনে মাদ্রাসা চত্বর ঘুরে দেখা যায়, বৃহত্তর ফরিদপুর বিভাগের গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলা থেকে কুরআনের পাখিরা (প্রতিযোগীরা) অংশ নেয়। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রেজিস্ট্রেশন পর্ব সম্পন্ন করে। প্রতিযোগীদের পদচারণায় মাদ্রাসা চত্বরে প্রাণবন্ত সৃষ্টি হয়।
দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথম পর্বের প্রতিযোগিতায় ৫০ জনকে বাছাই করা হয়। সেখান থেকে দ্বিতীয় বাছাইয়ের মাধ্যমে ঢাকা অংশ নিতে ১০ জনতে বাছাই করেন বিচারক মণ্ডলী।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের মুফতি এহসানুল হক জিলানী পেশ ইমাম, ঢাকা টিপটপ জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা আরিফুদ্দিন মারুফ, হাফেজ কারী হাসান, হাফেজ কারী মহসিন, হাফেজ মো. হেদায়েত উল্লাহ, হাফেজ আবু নাঈম, হাফেজ মো. তাউহিদুজ্জামান, হাফেজ মো. ওমর ফারুক, হাফেজ মেজবাউদ্দিন, হাফেজ বেলাল হোসাইন, হাফেজ মাওলানা শরিফুল ইসলাম।
এবারের কুরআনের নূর প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ের প্রথম বিজয়ী হাফেজ পাবে ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা।
দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে ৭ লাখ টাকা ও সম্মাননা। তৃতীয় পুরস্কার ৫ লাখ টাকা ও সম্মাননা। চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার ২ লাখ টাকা করে এবং সম্মাননা। এছাড়া ষষ্ঠ থেকে অষ্টম স্থান অর্জনকারী বাকি তিনজন পাবে ১ লাখ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার ও সম্মাননা। এবারও জাতীয় পর্যায়ের আট বিজয়ী, তাদের পরিবার ও ওস্তাদকে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব পাঠানো হবে।
অন্যদিকে প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রথম বিজয়ী পাবে ১৫ লাখ টাকা ও সম্মাননা। দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা এবং তৃতীয় বিজয়ী পাবে ৫ লাখ টাকা ও সম্মাননা।
ফরিদপুর অডিশন বিভাগের সমন্বয়ক হাফেজ মাওলানা রাকিব হাসান উচমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ৪টি বুথে ফরিদপুরে সাড়ে ৬০০ কুরআনের হাফেজ এ অডিশনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে অংশ নেয়। প্রথম পর্বের প্রতিযোগিতা বেলা ১টায় শেষ হয়। পরের রাউন্ডে ১০ জনকে ইয়েস কার্ড দেওয়া হয়। অডিশনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের মুফতি এহসানুল হক জিলানী পেশ ইমামসহ মোট ১১ জন বিচারক মণ্ডলী এই অডিশনের বিচারকার্য পরিচালনা করেন।’
+ There are no comments
Add yours