ফ্রন্টিয়ার ডেস্ক:
ভারত গত শুক্রবার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানোর পর দেশের বাজারে চড়া দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে গত শনিবার পুরোনো দেশি ও ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম রাতারাতি কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আজ ১০ ডিসেম্বর রবিবার বাজারে পেঁয়াজের দাম আর না বাড়লেও শনিবারের তুলনায় কমেওনি। তবে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের চালান বাজারে আসতে শুরু করেছে। এই পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজও এসেছে। দাম পড়ছে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৯০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, গত রাতে ঢাকার বাজারে যে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ঢুকেছে, তা পাইকারিতে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ও ভারতীয় পেঁয়াজের তুলনায় এর দাম বেশ কম। এ জন্য এই ধরনের পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
ঢাকার বিভিন্ন বাজার থেকে পুরোনো দেশি পেঁয়াজ কিনতে প্রতি কেজির দাম অন্তত ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম পড়ছে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। চীন থেকে আমদানি করা বড় আকারের পেঁয়াজের দাম পড়ছে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। চীনের এই পেঁয়াজের ব্যবহার বাসাবাড়িতে খুব একটা দেখা যায় না।
ঢাকার শ্যামবাজারের পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, এই সময়ে পুরোনো দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ এমনিতেই কম থাকে। দেখা যায়, আমদানি করা পেঁয়াজের পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজ এসে বাজার দখল করে। তবে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ার খবরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে যেহেতু নতুন পেঁয়াজ আসা শুরু করেছে, তাতে সপ্তাহখানেকের মধ্যে দাম নেমে আসবে।
মুড়িকাটা ধরনের পেঁয়াজের অন্যতম উৎপাদন এলাকা উত্তরাঞ্চলের পাবনা জেলা। এই জেলার সাঁথিয়া উপজেলার মুন্নাফ ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক শিপন হোসেন বলেন, চার-পাঁচ দিন হলো হাটে আগাম জাতের (মুড়িকাটা) নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এই পেঁয়াজ পাইকারিতে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
+ There are no comments
Add yours