ছিনতাই চক্রের হোতাসহ গ্রেফতার ৫

Spread the love

ফ্রন্টিয়ার রিপোর্ট :

রাজধানীর অদূরে সাভারে যাত্রীবেশে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনার দেড় মাস পর অপরাধী চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইলসহ ও বেশ কিছু নগদ টাকা। আজ ২৭ নভেম্বর সোমবার দুপুরে আশুলিয়ায় নবীনগর র‌্যাব ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানায় সিপিসি-২ এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ভোলা জেলার মো. রাজু (৩০), একই জেলার মো. মহসিন (৪০), নুর আলম (২৮), মো. ইসমাইল (২০) ও মো. আক্তার (১৯)। র‌্যাব জানায়, গত ৮ অক্টোবর সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় চালক রমজান আলীর অটোরিকশায় যাত্রীবেশে উঠে ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা রাজু ও তার সহযোগী ইসমাইল। এরপর অটোরিকশাটি নিয়ে ভাকুর্তার কাইসার চর এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। ওই স্থানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ছিনতাইকারী চক্রের আরও তিনজন মিলে খেলনা পিস্তলের ভয় দেখিয়ে চালক রমজানের মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। রমজানের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম অটোরিকশাটিও ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে সে চিৎকার শুরু করে।

এ সময় ছিনতাইকারীরা তার হাত-পা বেঁধে ও গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ একটি নির্জন কলাবাগানে ফেলে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় নিহতের পরিবার সাভার মডেল থানার অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করলে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ২৬ নভেম্বর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কেরানীগঞ্জ ও সাভার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যার রহস্য উদঘাটন পূর্বক পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-৪ (সিপিসি-২) এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ভিকটিম রমজানকে হত্যা ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা সকলেই ভোলা জেলার স্থায়ী বাসিন্দা। তবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার পর তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর আবারও সম্প্রতি ফিরে তারা এসে ঢাকার মোহাম্মদপুর, কেরানীগঞ্জ ও সাভার এলাকায় ছিনতাই কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ে। মূলত এই চক্রের সদস্যরা দিনে অটোরিকশা ও সিএনজি চালক হিসেবে কাজ করলেও রাতের বেলা তারা ভয়ঙ্কর ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। দুপুরে তাদের সাভার মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দের পর আদালতে পাঠানো হবে।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours