বরগুনার বামনা উপজেলার বলইবুনিয়া গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামী আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দুই সদস্যকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বরিশাল থেকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের বামনা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। অুাটককৃত ডাকাতরা হলেন, বামনা উপজেলার সোনাখালী গ্রামের রতন হাওলাদার এর ছেলে মো. মিলন হাওলাদার(২৮) ও ঢুষখালী গ্রামের কাদের খান ওরফে ধলু খানের ছেলে মো. বেল্লাল খান(৩৩) ।
আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর ২ টায় আটককৃতদের বরগুনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ মো. মাইনুল ইসলাম।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বলইবুনিয়া গ্রামের ডাকাতির প্রস্তুতি কালে মালেক নামে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের আর একজন সদস্য একটি পাইপগানসহ জনতার হাতে আটক হয়ছিলো। তার বাড়ি কাঠালিয়া উপজেলার মহিশকান্দি গ্রামে।
মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, গত ২০ নভেম্বর রবিবার দিবাগত গভীর রাতে পূর্ব বলইবুনিয়া গ্রামের খতিব বাড়ী সংলগ্ন হানিফের ঘরে ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ডাকাতি করতে গেলে ঘরের লোকজন টের পেয়ে ডাকচিৎকার করলে ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে। এ সময় বাড়ীর লোকজন ও এলাকাবাসী ডাকাতের পিছুনিয়ে ডাকাত দলের সদস্য আব্দুল মালেক ডাকাতকে অস্ত্রসহ ধরে ফেলে এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয়রা বামনা থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে জনতার হাতে আটক ডাকাত আব্দুল মালেককে উদ্ধার করে। পরে তাকে গ্রেফতার করে বামনা থানায় নিয়ে আসে।
ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামী হিসাবে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বেল্লাল ও মিলনকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার কওে বরিশাল থেকে আটক করা হয়েছে।
বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ডাকাত সদস্য মিলন হাওলাদার এর নামে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন থানায় ৩টি ডাকাতি ১টি দস্যুতা ও ১টি অন্যাণ্য মামলাসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে ও আরেক সদস্য বেল্লাল খানের বিরুদ্ধে ৫টি ডাকাতি, ১টি অস্ত্র, ১টি সিঁধেল চুরি ও ১টি হত্যা চেষ্টা মামলাসহ ৮টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও বলইবুনিয়া গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জনতার হাতে আটক ডাকাত মালেক এর বিরুদ্ধে ১৩টি ডাকাতির মামলা চলমান রয়েছে। আটককৃতদের আজ শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করবো।
+ There are no comments
Add yours