ফ্রন্টিয়ার ডেস্ক:
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যুব মহিলা লীগের বহিস্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। ওই দিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে তার জামিনের বিষয়ে শুনানি হবে।
বুধবার ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিস্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। পাপিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রবিউল আলম বুদু, মোহাম্মদ হোসেন।
২০২০ সালের ৪ আগস্ট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাপিয়া হোটেল ওয়েস্টিনে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বিল দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। ওয়েস্টিনে ১১ জন নিয়ে নিয়মিত থাকতেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে পাপিয়ার ৮৮ জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়।
ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। বাকিরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান, সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবা।
এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইন্দিরা রোডে পাপিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
+ There are no comments
Add yours